সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে জামায়াত-শিবির: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ইসলামী ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপকে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে জামায়াত-শিবির।
ডিবি প্রধান বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একসময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত মীর কাশিম আলীসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলে ছিল। ব্যাংকটি তাদের কাছ থেকে মুক্ত হলে জামায়াত-শিবির চক্র ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। ব্যাংকিং খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালালেও এর প্রেক্ষিতে কোন প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। এর আগে ইসলামী ব্যাংক ও দেশের শিল্পগ্রুপ এস আলম গ্রুপ নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোহাম্মদ নূর উন নবী, আফসার উদ্দিন রোমান, আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম। তাদেরকে গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, "গ্রেপ্তারকৃতরা দেশে বসে গুজব ছড়িয়েছে। পাশাপাশি তাদের সহযোগীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত নিয়ে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত করছে। এই চক্রের সবার নাম পেয়েছি, দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এমনকি এই চক্রে ইসলামি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক, কর্মরত-কর্মকর্তা রয়েছে।"
ডিবির এই কর্মকর্ত আরও বলেন, "চক্রটি প্রবাসীদের রেমিটেন্স না পাঠানোর বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নেইসহ নানাবিধ গুজব রটানোর কাজে জড়িত। এই সকল গুজবের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে বিভিন্ন সময় পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।"