বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা ফেসবুক, ইন্টারনেটের সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যবহারকারী: গবেষণা
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ফেসবুক এবং ইন্টারনেটভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যবহারকারী (প্রবলেম্যাটিক ইউজার) হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে একটি গবেষণায়। করোনা মহামারির সময়ে তাদের এ প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) 'নেচার' সাময়িকীতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে। সেখানে বলা হয়, মহামারি চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা বৃদ্ধির সাথে ইন্টারনেটের সমস্যাযুক্ত ব্যবহার (পিইউআই) এবং ফেসবুকের সমস্যাযুক্ত ব্যবহার (পিইউএফ) সম্পর্কযুক্ত।
গ্রামীণ বাসস্থান, লেখাপড়ার চেয়েও বিনোদনের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটানো, সিনেমা বা টিভি শো ডাউনলোড করা, প্রেমের সম্পর্কে ব্যর্থ- এসবই ইন্টারনেট ও ফেসবুকের সমস্যাযুক্ত ব্যবহারের নির্ণায়ক হিসেবে ধরা হয়েছে।
গবেষণাটির জন্য ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ১ হাজার ১০১ জন বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি ক্রস-সেকশনাল অনলাইন জরিপ করা হয়।
পিইউআই এবং পিইউএফ মূল্যায়ন করতে ইন্টারনেট আসক্তির টেস্ট এবং ফেসবুক আসক্তির পরিসীমা (স্কেল) ব্যবহৃত হয়েছিল।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যথাক্রমে ৩৯.৩% পিইউআই এবং ৩৭.১% পিইউএফ মেলে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, গ্রামে বসবাসকারী, আর্টসের শিক্ষার্থী, মেজর বা প্রধান বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থী, বাবা-মায়ের সাথে মধ্যম মাত্রার সম্পর্ক, প্রেমে ব্যর্থ, গুরুতর অসুখ বা কোমর্বিডিটি, দীর্ঘ সময় ইন্টারনেটের ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার, সিনেমা বা টিভি শো ডাউনলোড ইত্যাদির সাথে ইন্টারনেটের সমস্যাযুক্ত ব্যবহার (পিইউআই) জড়িত।
এর মধ্যে গ্রামে বাস, নিম্ন আয়, আর্টসের শিক্ষার্থী, প্রেমে ব্যর্থ, পড়ার চেয়ে ইন্টারনেটে বেশি সময় ব্যয়, সিনেমা বা টিভি শো ডাউনলোড ইত্যাদি ফেসবুকের সমস্যাযুক্ত ব্যবহারের (পিইউএফ) সাথেও সংশ্লিষ্ট।
গবেষণাটি পরিচালনা করেন আবু সাঈদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, এনরিকা ক্রিস্টোফার, আবদুল্লাহ আল জুবায়ের, সত্যজিৎ কুন্ডু, মোহাম্মদ রায়হান তারিক, সাদিয়া সুলতানা, মোঃ হাসান আল বান্না, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম খান, এম তাসদিক হাসান এবং কামরুন নাহার কলি প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার রোধে সাইকোলজিক্যাল এডুকেশন ক্যাম্পেইন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বাধীন অন্যান্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।