চট্টগ্রামে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি: কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চায় চসিক
চট্টগ্রামের ৫টি ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু কার্যক্রমের উপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
সিটি কর্পোরেশনের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে গত দুই সপ্তাহে শতাধিক সার্টিফিকেট জাল করে হ্যাকারদের একটি দল। এরপরই প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছে চসিক।
একইদিন এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এ জালিয়াতির ঘটনায় নগরের খুলশী, হালিশহর ও পাহাড়তলী থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। ঘটনার ছায়াতদন্তে নেমে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সনদ জালিয়াত চক্র শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালাচ্ছে।
সর্বশেষ গত বুধবার চসিকের ১১ নম্বর ওয়ার্ড অফিস ও ইপিজেড এলাকা থেকে মো. রাকিব হোসেন ও মনি দেবী নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এ নিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৮ থেকে ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উত্তর পতেঙ্গা, আন্দরকিল্লা, উত্তর পাহাড়তলী, দক্ষিণ কাট্টলী ও দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে ৫৪৭টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়। ২১ জানুয়ারি বিষয়টি জানাজানি হয়।
এরপর গত ২৪ জানুয়ারি এসব ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু কার্যক্রম স্থগিত করে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়। এ উদ্যোগের মধ্যেই গত মঙ্গলবার রাতে নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে ১৩৩টি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছে জালিয়াত চক্র।
চসিকের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, হ্যাকিংসংক্রান্ত জটিলতার কারণে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ কাট্টলী, পাহাড়তলী, আন্দরকিল্লা, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। এতে ওয়ার্ডগুলোতে মানুষ জন্মনিবন্ধন করতে ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। জনভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হ্যাকিং বা ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা পাঁচটি ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সচল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, "ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্র জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির এ কার্যক্রম চালাচ্ছিলো। গ্রেপ্তার আসামিদের অনেকে এ বিষয়টি স্বীকার করেছে।"