টাকা ফেরত পেতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিলো আলেশা মার্টের গ্রাহকরা
৭ দিনের মধ্যে মূল টাকা ফেরত না দিলে আলেশা মার্টের চেয়ারমান মঞ্জুরুল আলম সিকদার ও ও তার স্ত্রী এমডি সাদিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন আলেশা মার্টের গ্রাহকরা।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশান এলাকায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বাসার সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে গ্রাহকরা টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
২০২১ সালে লাভজনক ডিসকাউন্ট অফার করে দুটি বিক্রয় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭০০০ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু, এই গ্রাহকদের বেশিরভাগই তাদের অর্ডারকৃত পণ্য পাননি এবং তাদের পেমেন্ট করা টাকার সিংহভাগই আটকে আছে।
ইমরান হোসেন নামে এক গ্রাহক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "৩০০ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪২ কোটি টাকা কিছু গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হলেও বাকি ২৫৮ কোটি টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে।"
কোম্পানিটি গ্রাহকদের ২৫৮ কোটি টাকার চেক ইস্যু করলেও সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যেই আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টে এ পর্যন্ত শতাধিক চেক ডিসঅনারের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও আসামিরা কোনো একভাবে জেল থেকে বাইরে রয়েছেন বলে জানান ইমরান।
"মাঝেমাঝে চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিতে ফেসবুক লাইভে আসেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউই তাদের টাকা ফেরত পায়নি। আমরা কোনো অনুদান চাই না। আমরা শুধু আমাদের টাকা ফেরত চাই," তিনি যোগ করেন।
এ সংকট নিরসনে মঞ্জুরুল আলম সিকদার একাধিকবার কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। তাছাড়া, কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকে আলেশা মার্টের অন্তত ৫৬টি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা ২,০০১ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। আলেশা মার্ট এই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ১,৯৯৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে।