মেরামতের অজুহাতে ৫০ দিন ধরে বন্ধ সিইউএফএল
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/02/11/cufl.jpg)
মেরামতের অজুহাতে দীর্ঘ ৫০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল)।
এর ফলে ইউরিয়া সার তৈরির কারখানাটিতে প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। অপচয় হচ্ছে সরকারির অর্থের।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর সিইউএফএলের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে কারখানাটি।
কিন্তু কারখানা বন্ধ থাকলেও এটি পরিচালনায় দায়িত্বরত ৯ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা ঠিকই চলছে।
এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০১৯-২০ সালেও প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল কারখানাটি। একই কারণে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আড়াই মাস কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি তা আবার চালু হয়।
গ্যাস সংকটের কারণে গত বছরের জুলাইয়ের বেশ কিছু দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল কারখানাটি।
দৈনিক ১১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয় কারখানটিতে। প্রতি মেট্রিক টন সার ২০ হাজার টাকা হিসেবে কারখানাটিতে দৈনিক ২ কোটি ২০ লাখ টাকার সার উৎপাদিত হয়।
সিইউএফএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, "মেরামত কাজ শেষ না হওয়ায় কারখানা উৎপাদনে যেতে পারছে না। ২৭-২৮ ফেব্র্যয়ারির মধ্যে মেরামত কাজ শেষে কারখানা উৎপাদনে যাবে।"
"একটা কারখানা স্বাভাবিকভাবে ২০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। কিন্তু সিইউএফএল সার কারখানার বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়েছে। এ কারণে পুরনো কারখানাটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা যাচ্ছে।"
বার বার মেরামতের কারণে ব্যয় বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেম, "বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসব ব্যয় সম্পন্ন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।"
১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।