ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরুর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন: ইসি
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে হবে নাকি আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তা নিশ্চিত নয়। আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সভায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইসি বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে কমিশনের। সে পরিকল্পনা অনুযায়ীই কাজ চলছে।
'সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখা হবে। আগামী সপ্তাহে কমিশনের সভায় খসড়া অনুমোদন হলে তা গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে'।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদে যাওয়ায় কোনো আইন লঙ্ঘণ হয়নি, কারণ তার পদ অলাভজনক।
প্রসঙ্গত, নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জেলা ও সেশন বিচারক ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুদকের আইন অনুযায়ী, কমিশনাররা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারেন না। তাই রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিন যেতে পারেন কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এর ব্যাখ্যা দিতে ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'তখন এবিষয়ে কোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। আদালত তার পদকে অলাভজনক বলে উল্লেখ করেন'।