২৪ ঘণ্টা পর স্বজনরা জানলেন সুমন, রবিন মারা গেছেন
আনিকা এজেন্সির মালিক ও স্যানেটারিওয়্যার ব্যবসায়ী মমিনুদ্দিন সুমনের দোকান ছিল বিস্ফোরণ ঘটা ভবনের নিচতলায়। তার স্ত্রী শারমিন আক্তার সন্তানসম্ভবা। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিস্ফোরণের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন তিনি। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে স্বামীর খোঁজ করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শারমিন।
কিন্তু, তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি জীবিত না মৃত জানতে পরিবারের আরো অনেকেই ছুটে আসেন ঢামেক প্রাঙ্গণে।
প্রায় ২৪ ঘন্টা পর সেই অপেক্ষার অবসান হলেও, শোকেই ভাসলেন স্বজনেরা।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে একটি লাশ নিয়ে আসেন ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা। মমিনুদ্দিন সুমনের বোনের ছেলে আব্দুল হাই মিন্টু বলেন আমরা তার লাশ শনাক্ত করেছি।
একই করুণ পরিণতি হয়েছে সুমনের দোকান আনিকা এজেন্সির কর্মী মো. রবিন হোসেনের। বিকেল ৫টায় তার লাশও মর্গে আসে। নিহত রবিন হোসেনের খালাতো ভাই মোহম্মদ শুভ টিবিএসকে তার লাশ শনাক্ত হওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রবিনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে। তার বাবা সোহরাব হোসেন।