গুলিস্তানে ভবন বিস্ফোরণ: ভবন মালিকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সেদিনের বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেক মানুষ।
বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমানের সাথে মতিউর রহমান ও মোতালেব মিন্টু নামে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
গুলিস্তানের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় বুধবার (৮ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) কেএন নিয়তি রায়।
তবে মামলার এজাহারে তখন কোনো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি জানান যে, তদন্ত চলছে এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে তাকে মামলায় আসামি করা হবে।
এদিকে গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোডের ক্যাফে কুইন মার্কেটের বেজমেন্ট থেকে আজ আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, ধারণা করা হচ্ছে নিহত ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান স্বপন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, অন্যতলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং সংলগ্ন একটি সাততলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
গতকালও ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে দু'জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যারা আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। রাজউক, সিটি করপোরেশন, তিতাস, ওয়াসা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।