জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে।
আজ শুক্রবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাইপলাইনটির অগ্রগতি পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সাশ্রয়ী উপায়ে, দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি [পাইপলাইনটি] একটি মাইলফলক হবে।'
তিনি বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ, বিগত ১৪ বছর যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করে আসছে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দেন নসরুল হামিদ।
এ সময় অন্যদের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের সময়কাল ছিল ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
১৮ মার্চ থেকে ভারত থেকে এই আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন দিয়ে বাংলাদেশে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রমালিকানাধীন জ্বালানি তেল আমদানিকারক বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ২-৩ লাখ টন জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা করছে।