নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি সড়কের নাম এখন ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি সড়ক এখন থেকে 'বাংলাদেশ স্ট্রিট' নামে পরিচিত হবে।
জ্যাকসন হাইটসের সেভেন্টি থার্ড স্ট্রিটে নানা বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসি এবং সংবাদপত্র কার্যালয়ের অবস্থান। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন (২৬ মার্চ) এ সড়কের নতুন নাম রাখা হয় 'বাংলাদেশ স্ট্রিট'।
সড়কটির নতুন নামকরণ উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিউজ ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নিউইয়র্কের ২৫ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল মেম্বার ও নিউইয়র্ক শহরের সড়ক নামকরণ কমিটির চেয়ারম্যান শেখর কৃষ্ণান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশনের সদস্যরা এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
এর আগে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার একটি সড়কের পুনরায় নামকরণ করে 'বাংলাদেশ এভিনিউ' এবং ব্রংক্স এর স্টালিং এভিনিউর নাম পাল্টে 'বাংলা বাজার এভিনিউ' নাম রাখা হয়।
একটি সড়কের পুনরায় নামকরণ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল যে জ্যাকসন হাইটসের কোনো একটি জায়গা বাংলাদেশি কমিউনিটি ও তাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। সে কারণেই কাউন্সিল সদস্য শেখর কৃষ্ণান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানায় তারা। শেখর কৃষ্ণান তার সহকর্মী ও নগর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিটি কাউন্সিলের সভায় নতুন নামকরণের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
সড়কের নতুন নাম উদ্বোধন করার পর কাউন্সিল সদস্য শেখর কৃষ্ণান টুইটারে লেখেন, "বাংলাদেশ স্ট্রিট' নামটি একটি নামের চাইতেও বেশি কিছু। এটি এমন একটি সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি যারা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আজ বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসে #জ্যাকসনহাইটস এর একটি সড়কের নাম আজীবনের জন্য পরিবর্তন করা হলো। সেভেন্টি থার্ড স্ট্রিট এখন থেকে প্রতিদিনই বাংলাদেশের নাম বহন করবে ও উদযাপন করবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আমাদের ট্যাক্সি চালক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গণমাধ্যম ও রাজনীতি- সর্বত্রই বাংলাদেশি সম্প্রদায় একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। আমি আমার অনেক আংকেল, আন্টি ও ভাইবোনের ওপর ভর করে আজকের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এদেরকে ছাড়া আজ এখানে আমি পৌঁছাতে পারতাম না। এই সড়কের নতুন নামকরণের সঙ্গে সঙ্গে পুরো নিউইয়র্কজুড়ে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে।"
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া মার্কিন কংগ্রেসম্যান গ্রেস মেং টুইটারে লেখেন, "কুইনসে বাংলাদেশি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সম্মানে #জ্যাকসন হাইটসের একটি সড়কের সহ-নামকরণের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছি। সেভেন্টি থার্ড এভিনিউ এবং থার্টি সেভেনথ এভিনিউ এখন থেকে বাংলাদেশ স্ট্রিট নামে পরিচিত হবে। আমি @CMShekarK কে এি উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ধন্যবাদ জানাই।"