আরাভ খানকে দেশে ফেরাতে আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ মিশন
রবিউল ইসলাম ওরফে আরভ খানকে দেশে ফেরানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তার ফাইল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ মিশন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে ফাইল বা কাগজপত্রগুলো রয়েছে, সেগুলো সত্যায়িত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ মিশন।'
আরভকে দেশে ফেরানোর অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় পরবর্তী সময়ে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করবে।
এর আগে গত ১৮ মার্চ ঢাকার একটি আদালত ২০১৫ সালে দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে দুবাইভিত্তিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় পলাতক আরাভের বক্তব্য শোনার জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম সালাউদ্দিন বলেন, 'আমরা আশা করছি আরাভ খান ১৩ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে জবানবন্দি দেবেন।'
প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে হুমকি দেওয়ার পর ২০১৫ সালে ২৮ জানুয়ারি টাকা আদায়ের জন্য তার শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে রিভলবারসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুন্ডু বাদী হয়ে আরাভের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১ মার্চ এ মামলায় আরভের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
২০১৫ সালের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার বিচার শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ তিনি আদালত থেকে জামিনও পান। কিন্তু এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
একটি আদালত ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
অবশেষে চলতি বছরের ২৪ মার্চ ইন্টারপোল তাদের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশ তালিকায় আরাভের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে। তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধ গ্রহণ করে ইন্টারপোল।
এর আগে ১৮ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে।