রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে জাপানকে অনুরোধ করেছি: প্রধানমন্ত্রী
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে বৈঠককালে, দেশটির প্রতি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) কিশিদার কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে বেশকিছু চুক্তি সই হয়। বৈঠককালে রোহিঙ্গাদের কারণে কীভাবে স্থানীয়দের জীবনজীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবিষয়ে কিশিদাকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
চুক্তি সইয়ের পর উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেন। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, 'মিয়ানমারের সাথে একটি যোগাযোগের চ্যানেল রক্ষার মাধ্যমে এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা জাপানের সাহায্য চেয়েছি'।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এতে স্থানীয় সম্পদ ও সম্প্রদায়ের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় মানুষের জীবনজীবিকায় বড় প্রভাব পড়েছে।
আকস্মিকভাবে রোহিঙ্গারা চলে আসায় পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বেড়েছে। বেড়েছে এসবের মূল্যও। এতে করে, খাদ্য ও বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণেও হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। চাপ পড়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুল অবকাঠামোর ওপরও।
স্থানীয় শ্রমিকরা আগে যে কাজের জন্য ৫০০ টাকা মজুরি নিতেন, সেখানে রোহিঙ্গা শ্রমিকরা নিচ্ছে ১০০ টাকা। ফলে তাদের আয়ও কমে গেছে।
এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাইছে।
এদিকে, প্রায় তিন বছর পর জাপান সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তার সর্বশেষ সফল ছিল ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফরে ২৫ এপ্রিল সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিও'র হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করে।