স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে জানান, আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দ শর্মিলা রহমান।
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসভবন থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া।
৭৭ বছরের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া, তারপর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালেই ছয় বার চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে তার লিভার সিরোসিসের সমস্যাও ধরা পড়ে। ১০ জুন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, যাতে হৃদযন্ত্রের বাম পাশের একটি ধমনী ৯৫ শতাংশ 'ব্লক' হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।
তার রক্তনালীতে আরো দুটি ব্লক শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে সেগুলো অপসারণ করতে পারেননি।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একটি নিম্ন-আদালত। একইবছরে, আরেকটি দুর্নীতি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে অস্থায়ীভাবে কারামুক্তি দেয়। মুক্তির শর্ত ছিল, তিনি গুলশানের বাড়িতেই থাকবেন এবং দেশত্যাগ করবেন না। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।