রাজশাহী সিটিতে মূল লড়াইটা হবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে
আসন্ন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদের জন্য প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রচারণা চলিয়ে যাচ্ছেন এই প্রার্থীরা।
এদিকে, ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ২০ নং ওয়ার্ডে মাত্র একজন প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ২৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১১ জন প্রার্থী।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী; ২৯ নং ওয়ার্ডে করছেন ৭ জন; ১৮ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন; ২,৩,৫ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন; ৪, ৮, ১১, ১৫, ১৬, ২৭ ও ৩০ নং ওয়ার্ডে ৪ জন; ৬, ১২, ১৪, ১৯, ২২, ২৪, ২৫ ওয়ার্ডে ৩ জন এবং ১, ৭, ৯,১৩, ১৭, ২১,২৩ ওয়ার্ডে ২ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা বর্তমানে পুরোদমে প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবেই। তার মধ্যেই আমি আশা রাখি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।"
আশরাফুল হাসাবের প্রতিদ্বন্দ্বী সান্নান সরদার বলেন, "ভোটাররা পরিবর্তনকামী। তারা কাউন্সিলর পদের পরিবর্তন দেখতে চায়। এজন্য আমার ঘুড়ি প্রতীকে ভোটাররা ভোট দেবে বলে মনে করছি।"
২৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মেহেদি হাসান রনি বলেন, "এই ওয়ার্ডের বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র। একটু বৃষ্টিতেই এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। জনবান্ধব কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী না থাকায় আমাদের এই ওয়ার্ড অনেক পিছিয়ে রয়েছে।"
অন্যদিকে, মেহেদি হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহাতাব হোসেন চৌধুরী আশাবাদী, ভোটাররা তার পাশে থাকবেন।
প্রচার-প্রচারণায় ও গণসংযোগে থেমে নেই ১০টি সংরক্ষিত আসনের ৪৬ নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চারজন প্রার্থী; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন বর্জন করেছে আগেই।
শুক্রবার (১৬ জুন) বেলা ১১ টায় নগরীর নানকিং দরবার হলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
এ সময় বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রমুখ।
সভায় রাশেদা সুলতানা বলেন, "নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটের পরিবেশ মনিটরিং করা হবে। ফলে ভোট যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।"