যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত বিআরটির মোট ৬.৭ কিলোমিটার উড়ালসড়ক
বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হাউজবিল্ডিং থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী পর্যন্ত ৪.৫ কিলামিটার উড়ালসড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এই অংশটি যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বিআরটি প্রকল্প জনগণের যথেষ্ট ভোগান্তির কারণ হয়েছে। এখানকার মানুষ আর ভোগান্তি সহ্য করতে পারবে না। ভোগান্তি কমাতে প্রকল্পের বিমানবন্দর থেকে জসিমউদ্দিন অংশ ঈদের আগেই খুলে দেয়া হবে। পুরো প্রকল্প এলাকায় সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বিআরটি সেবা চালু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে হাউজবিল্ডিং থেকে টঙ্গী ফায়ারসার্ভিস পর্যন্ত ২.২ কিলোমিটার বিআরটি উড়ালসড়ক যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, বিআরটি উড়াল অংশের দুইটি লেন যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত হয়েছে। গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর অংশের পুরো ২০.৫ কিলোমিটার অংশের কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
৩৫-৪০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত যাতায়াত নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২,০৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে বিআরটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। কাজ শেষ করে বিশেষায়িত বাসের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রীকে নিরাপদ পরিবহন সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল।
পরবর্তীতে প্রকল্পটির মেয়াদ পাঁচ দফায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় উঠেছে ৪,২৬৮ কোটি টাকায়।
ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী নির্বাচনের আগেই ঢাকা এলিভেটেড সড়কের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশ চালু হবে। অবশিষ্ট অংশ চালু হবে নির্বাচনের পরে। শীঘ্রই সারা দেশে আরও ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শিডিউল পাওয়া গেলেই এই অবকাঠামো উদ্বোধন করা হবে।
কুরবানির ঈদে জনদুর্ভোগ কমাতে উদ্যোগ
গত ঈদুল ফিতরে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও মানুষের যাত্রায় তেমন ভোগান্তি হয়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশ কিছু কারণে এবারের কুরবানি ঈদে স্বস্তির যাত্রায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'এখন বৃষ্টি, রাস্তার পাশে কুরবানির পশুর হাট আর কুরবানির পশুর গাড়ির ধীরগতি যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়াতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটি) অফিসে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সবার করণীয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সবাই নিজেদের কাজ করতে পারলে এই ঈদেও স্বস্তির যাত্রা নিশ্চিত করা যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।