লবণের পর চামড়ার দামও বাড়তি, ক্ষতির আশঙ্কা চামড়া ব্যবসায়ীদের
এবার লবণের দাম বেড়েছে, এরপর চামড়াও বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালবাগের পোস্তার চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ বছর ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
পোস্তার আড়ত মালিক সাজ্জাদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, লবণের দাম গত বছরের থেকে ৩০০ টাকা বেশি। গত বছর বস্তা ১,০০০ টাকা ছিল, যা এবার ১,৩০০ টাকা।
সাজ্জাদ আরও বলেন, 'এবার চামড়ার দামও ১০০-১৫০ টাকার মতো বেশি। এবার একটি ভালো মানের চামড়ার দাম ৯০০ থেকে ১,১০০ টাকা। এরপর এতে লবণ দেওয়াসহ ৪০০ টাকা খরচ আছে। কিন্তু বিক্রি করতে গেলে প্রতিটি চামড়ায় ট্যানারি মালিকদের থেকে সর্বোচ্চ ১,৪০০ টাকা পাব।'
পোস্তার আরেক ব্যবসায়ী মো. পাভেল বলেন, 'আমরা সরকার-নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনছি। বিক্রিও সরকার-নির্ধারিত মূল্যেই করতে হবে। কিন্তু লবণের দামসহ অন্যান্য খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সেই খরচ এবার আমাদের না-ও উঠতে পারে।'
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগেই কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দাম কিছুটা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মৌসুমী কাঁচা চামড়া বিক্রেতারা।
চামড়া বিক্রেতা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'এবার প্রতিটি চামড়ার দাম ৫০ টাকা বেশি পাচ্ছি। গত বছর যা ৭৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে, এবার তা ৮০০ টাকা বলছে। দাম খারাপ না।'
তবে চামড়া দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রাহক পর্যায় থেকে কিনে সায়েন্সল্যাবে বিক্রি করা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এরকম ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া বলেন, 'সাইন্সল্যাবে ভালো মানের চামড়ার দাম ৭০০ টাকা। মাঝারি মানের চামড়া ৫০০-৬০০ টাকার উপরে উঠছে না। আমাদের লস হয়েছে বিক্রি করে।'
এ ব্যাপারে পোস্তার ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, 'যারা সায়েন্সল্যাবে চামড়া কেনেন, তারাই আবার আমাদের কাছে এসে চামড়া বিক্রি করেন। মাঝখানে তারা লাভ করেন, এজন্য সেখানে চামড়ার দাম পোস্তার থেকে কিছুটা কম হয়।'