ভোমরা বন্দরে তিন দিনে এলো ২০৭ টন কাঁচামরিচ, তবু কেজিতে বাড়ল ২০০ টাকা
আমদানি যথেষ্ট তবে স্থানীয় বাজারে নেই পর্যাপ্ত সরবরাহ ফলে সাতক্ষীরার বাজারে আবারও কেজিতে কাঁচামরিচের দাম ছুঁয়েছে ৪০০ টাকায়। পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। অথচ দুই দিন আগে আকস্মিক দাম কমে বিক্রি হচ্ছিল ১৫০-২০০ টাকা কেজিতে। এ নিয়ে সদুত্তর দিতে পারছেন না কেউ।
অন্যদিকে, ভোমরা বন্দর দিয়ে গত তিন দিনে ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে ২০৭ মেট্রিক টন। ঈদের ছুটি শেষে বন্দরের কার্যক্রম শুরুর দিন গেল ২ জুলাই আমদানি হয়েছিল ৭ ট্রাকে ৭০ মেট্রিক টন। পরদিন ৩ জুলাই ৮ ট্রাকে ৬৮ মেট্রিক টন ও ৪ জুলাই আমদানি হয়েছে ৭ ট্রাকে ৬৯ মেট্রিক টন।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ভারতীয় কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজিতে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
আমদানি যথেষ্ট তবে সরবরাহ কম কেন, এমন প্রশ্নে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জানান, "বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা এখানে পণ্য দেয় না। কারণ তাদের কাছ থেকে নিতে গেলে ট্রাক ট্রাক নিতে হবে। ভোমরা বন্দরের কাঁচামরিচ বাজারের ব্যবসায়ীরা কিনছে খুলনার আড়ৎ থেকে। এতে পরিবহন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। ভোমরা বন্দর থেকে যদি দৈনিক ৩০ বস্তা কাঁচামরিচ দেয় বাজারে তবে কাঁচামরিচের কেজি ১০০ টাকায় নেমে আসবে।"
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, "ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় ব্যবসায়ীরা কাঁচামরিচ আমদানি করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না। সেকারণে স্থানীয় বাজারগুলো কাঁচামরিচ পাচ্ছে না।"
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে মনিটরিং নেই; যে যার মতো দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় না আনলে এই নৈরাজ্য বন্ধ হবে না।
ভোমরা বন্দরের কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নিয়ামুল হাসান জানান, গত তিনদিনে ২০৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। আমদানি কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। দিনশেষে বলা যাবে আজ কত টন আমদানি হলো।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।