সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প: পাইপলাইনে ত্রুটি, পরীক্ষামূলক তেল খালাস কার্যক্রম বন্ধ
পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে জাহাজ থেকে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) মাধ্যমে পরীক্ষামূলক তেল খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গত ৩ জুলাই সকাল সোয়া ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তেল খালাস শুরু হয়। মাত্র ৫ ঘণ্টা পর এসপিএমের সঙ্গে জাহাজের সংযোগকারী পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দিলে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ৮ জুলাই পর্যন্ত পাইপলাইন কিংবা লাইটার জাহাজে করে তেল খালাস কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান জানান, পাইপলাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত সোমবার বিকাল থেকে তেল খালাস স্থগিত রাখা হয়। পাইপলাইনে কী সমস্যা হয়েছে, তা নির্ণয় ও ত্রুটি সারানোর জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
এমটি হোরে জাহাজটি সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন ক্রুড (অপরিশোধিত) তেল নিয়ে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে স্থাপিত এসপিএমের কাছে গত ২৪ জুন পৌঁছায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তেল খালাস কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়।
ইআরএলের তথ্যমতে, পাইপলাইনে ত্রুটি ধরা পড়ার আগে ওই জাহাজ থেকে ৭-৮ হাজার টনের মতো তেল সরবরাহ হয়েছিল। এখন লাইটারেজের মাধ্যমে বাকি তেল রিফাইনারিতে নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার বিকাল পর্যন্ত তেল খালাস বন্ধ রয়েছে। মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে করে তেল খালাস কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তেল খালাস বন্ধ থাকার কারণে জাহাজের ভাড়া বাবদ প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার ডলার অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক (অপারেশন্স ও পরিকল্পনা) খালিদ আহম্মেদ, সচিব মুহম্মদ আশরাফ হোসেনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি।
প্রায় ৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এসপিএম পরীক্ষামূলকভাবে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাসের এই কার্যক্রম সফল হলে আগামী আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. শরীফ হাসনাত।