নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়নি: এনআইডি ডিজি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে পাঁচ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়নি।
রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য নিয়ে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান সেবা দিয়ে থাকে। তাদের কারও মাধ্যমে তথ্য ফাঁস হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। কারও কোনো ত্রুুটি-বিচ্যুতি পেলে তাদের সাথে চুক্তিপত্র বাতিল করব।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমাদের ডাটা সেন্টারে কোনোরকম সমস্যা হয়নি। তবে আমরা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখব।'
মহাপরিচালক বলেন, 'আমরা আইসিটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত কমিটি করাব। এরপর ব্যবস্থা নেব।'
যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক-এর গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস জানান, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইটে বহু বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে।
ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে নাগরিকদের পুরো নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে উল্লেখ করে ভিক্টর জানান, বিষয়টি তিনি বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে (সিআইআরটি) অবগত করলেও কোনো সাড়া পাননি।
রোববার তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের পেছনে সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটটির দুর্বলতা দায়ী।
তিনি বলেন, 'সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। ওয়েবসাইটটির দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।'
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ভিক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইমেইলের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া তথ্যের কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন।
ভিক্টর বলেন, 'আমি এখনও তথ্য বিশ্লেষণ করে যাচ্ছি; তাই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না, তবে প্রায় ৫ কোটি লোকের মতো হবে।'