পুলিশের ওপর আক্রমণের সময় আ. লীগ নেতারা তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের ওপর আক্রমণের সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের সহযোগিতার জন্য বের হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে আজ শনিবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়েই সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন তিনি।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের ঘটনা আমাদের (বিএনপি- জামায়াত নেতা-কর্মীদের) অগ্নিসন্ত্রাসের কাহিনি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমাদের বাধা নেই, কিন্তু তাতে জনদুর্ভোগ তৈরি হলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপি নেতারা সহিংসতায় উৎসাহ দিচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।'
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও লন্ডন থেকে (তারেক রহমানের বক্তব্যও প্রচার হয়েছে।
কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি নেতা আমান রাস্তায় পড়ে যান, পুলিশ বাহিনী মানবিকতা দেখিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান মন্ত্রী।
কামাল বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে পুলিশের ৩১ সদস্য আহত হয়েছেন, তারা এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় প্রায় ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বিএনপির আজকের অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলার সময় শ্যামলী ও মাতুয়াইলে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবারের মহাসমাবেশ থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি।
সরকার পতনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের রাজপথে অবস্থান করার নির্দেশনা দেয় দলের হাই-কমান্ড।
অন্যদিকে, শান্তি-সমাবেশ থেকে বিএনপির কর্মসূচিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিন আ. লীগের তিন সহযোগী সংগঠন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে শান্তি সমাবেশ করে।