বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৩ বার পেছালো
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
ফলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আগামী ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৭৩ বারের মতো পেছালো।
উল্লেখ্য, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অজ্ঞাত হ্যাকাররা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে।
চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ম্যানিলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) এর চারটি অ্যাকাউন্টে ৮১ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়।
তবে, হ্যাকারদের দ্বারা বানানে ভুল হওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কায় ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর শেষ মুহূর্তে আটকে যায়; শ্রীলঙ্কা থেকে ওই অর্থ ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরবর্তীতে, ফিলিপাইন থেকে আরও প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দায়িত্বে অবহেলার জন্য আরসিবিসি থেকে জরিমানা হিসেবে এ অর্থ আদায় করা হয়।
তবে, প্রায় ৬৬ মিলিয়ন ডলার এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও বাকি অর্থ আদায়ে মার্কিন আদালতে সরকারের চলমান আইনি লড়াইয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তাছাড়া, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার তদন্তও শেষ করেতে পারেনি সিআইডি।সিআইডি বলছে, তাদের তদন্ত প্রায় শেষের দিকে এবং শীঘ্রই তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।
এদিকে, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি ২০১৬ সালের মে মাসে রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং) জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং দণ্ডবিধি আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।