সৈকতে ঢেউয়ের তীব্রতায় তলিয়ে যাচ্ছে জিওব্যাগ; হুমকিতে স্থাপনা
বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে, জারি রয়েছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১২টায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টে দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর বেশ উত্তাল, বাতাসের গবিবেগও রয়েছে। কিন্তু, বৃষ্টি নেই। ঢেউয়ের আঘাতে উপড়ে যাচ্ছে ঝাউগাছ, তলিয়ে যাচ্ছে জিওব্যাগ, তছনছ হচ্ছে বালিয়াড়ির রাস্তা, হুমকির মুখে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
জেড স্কি চালক ওমর ফারুক বলেন, সাগর উত্তাল থাকার কারণে গত দুই দিন ধরে জেড স্কি চালানো যাচ্ছে না। সকালে একটু করে নামানোর চেষ্টা করা হলেও, পরবর্তীতে ঢেউয়ের তীব্রতার কারণে নামানো যায়নি।
কিটকট ব্যবসায়ী ইদ্রিস বলেন, সাগর উত্তাল, ঢেউয়ের আঘাত তীব্র। তাই পর্যটক বসার কিটকট (ছাতা) বালিয়াড়িতে বসানো যায়নি। সব কিটকট স্তুপ করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
সৈকতের লাবনী পয়েন্টের গণশৌচাগারের দায়িত্বে থাকা ওসমান বলেন, ৩ দিন ধরে ভয়াবহ ঢেউ আঘাত করছে স্থাপনায়। শুধু এই স্থাপনায় নয়, তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে হুমকিতে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের টাওয়ার, পুলিশ ফাঁড়িসহ বেশ কয়েয়টি স্থাপনা। জিওব্যাগও রক্ষা করতে পারছে না।
সৈকত পাড়ার লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, সৈকতে লাল পতাকা টাঙানোর পাশাপাশি পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি জানিয়েছে, 'বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে ৪টি ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে এক জেলে। আর উদ্ধার করা হয়েছে অর্ধ-শতাধিক জেলেকে।'