ঢেউয়ের আঘাতে মেরিন ড্রাইভের ভাঙন বাড়ছে
জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের অন্তত নতুন ৫টি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গত ৩ দিনে সড়কটির কমপক্ষে ১৫ অংশে ভাঙন দেখা গেল।
সবচেয়ে বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে হাদুরছড়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন শ্মশান পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টায় ওই এলাকার পশ্চিম মুন্ডার ডেইল সংলগ্ন সড়কে নতুন করে ভেঙ্গেছে দেড় শত মিটারের বেশি।
বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ৬০ মিটারের কাছাকাছি সড়ক ভেঙ্গে গিয়েছিল।
সকালে দেখা যায়, জোয়ারের সময় ঢেউয়ের তীব্রতা এসে আঘাত আনছে সড়কে। যেখানে সড়কটি ওই অংশের অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে। ওখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি বিশেষ ইউনিট জিওব্যাগ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে।
আশেপাশে বাহারছড়া, হাদুর ছড়া, দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় অন্তত ১৫ স্পটেও সৃষ্টি হয়েছে ভাঙন। ওই এলাকায় কয়েক শত ঝাউগাছও উপড়ে গেছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, সড়কের পূর্ব পাশে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি জমি কিনেছেন। তাদের কেনা জমি ভরাট করতে সড়কের পাশের সৈকত থেকে অবাধে বালু তুলছেন। এতে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
এছাড়া সড়ক রক্ষায় স্থাপন করা জিওব্যাগগুলোও ফেটে যেতে শুরু করায় ঝুঁকি বেড়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, ভাঙনের কারণে স্থানীয় ২ হাজার পরিবারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দ্রুত ঠেকানো না গেলে টেকনাফের সাবরাং টুরিজম পার্ক অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। একইসঙ্গে সড়কের পূর্বপাশে গ্রামের বসতঘর, জমি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
জোয়ারের ঢেউ সড়কটির অর্ধেক ভেঙ্গে দিয়েছে মন্তব্য করে মো. সেলিম জানান, 'বড় ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। এখন ছোট ছোট ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা জরুরী।'
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। এতে মেরিন ড্রাইভের সাবরাং বাহারছড়া ঘাট মুন্ডার ডেইল, হাদুরছড়া ও পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে।