সরকার ও চার পত্রিকাকে আইনি নোটিশ পাঠালো এস আলম গ্রুপ
মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও এস আলম গ্রুপ এবং ইসলামী ব্যাংকের দেওয়ার ঋণের বিষয়ে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সরকার ও চারটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক এবং এসব পত্রিকার আট সাংবাদিককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ল ফার্ম আজমালুল হোসেন কেসি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর্তৃক সাইফুল আলমের পক্ষে জারি করা হয় নোটিশটি।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১৩ আগস্টের (সোমবার) মধ্যে উল্লিখিত প্রতিবেদনগুলো সরানো না হলে, সাইফুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।
২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত "How a 24-year-old greenhorn is 'blessed' with a Tk900cr loan" শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকার সম্পাদক ইনাম আহমেদ এবং সাংবাদিক জেবুন নেসা আলো ও শাখাওয়াত প্রিন্সকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক এবং সাংবাদিক পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য ও জাইমা ইসলামকে একই ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত "Tk7,246 crore loans to 9 firms: BB probing breach of rules at Islami Bank" ও এ বছরের ৪ আগস্ট প্রকাশিত "S Alam's Aladdin's lamp" – এ দুটি প্রতিবেদনের জন্য তাদেরকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
একইভাবে নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান এবং পত্রিকার সাংবাদিক সানাউল্লাহ সাকিবকে। ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর "ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর" শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য এ নোটিশ পাঠানো হয়।
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত "S Alam Group lifts Tk30,000cr loans from IBBL alone" শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের জন্য নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির এবং রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমানকেও আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ২০২২ এর ৪ ডিসেম্বর সরকারি এজেন্সিগুলোকে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের প্রাপ্ত ঋণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
বিচারপতি মো নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এছাড়া, ডেইলি স্টারে প্রকাশিত "S Alam's Aladdin's lamp" শীর্ষক প্রতিবেদনের পর গত ৬ আগস্ট হাইকোর্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলার সন্দেহজনক পাচারের বিষয়ে একটি ব্যাপক তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এই তদন্তের জন্য হাইকোর্ট বিশেষভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তাদেরকে।