গ্যাস সংকট: তিতাস অফিস ঘেরাও করে গ্রাহকদের বিক্ষোভ
দিনের বেলায় বাসাবাড়িতে গ্যাস না পেয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাভার জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক গ্রাহক।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সাভারের তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের পানপাড়া, নয়াপাড়া, দত্তপাড়াসহ প্রায় ৭/৮ টি এলাকার বাসিন্দারা বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শিমুলতলা এলাকায় তিতাসের জোনাল অফিস ঘেরাও করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মাসুদ রানা মিন্টু। পরে তিতাসের পক্ষ থেকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে গ্রাহকরা ফিরে যান।
মাসুদ রানা মিন্টু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, গত প্রায় ৩/৪ বছর ধরে আমাদের এলাকায় চরম গ্যাস সংকট চলছে। রাতে গ্যাস পেলেও দিনে পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে আজ আমরা গ্যাসের দাবীতে তিতাস অফিস ঘেরাও করে এই বিক্ষোভ করেছি, সেখানকার কর্মকর্তারা আমাদের আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে সাভার জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. খাদেমুদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এসেছিলেন, আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি, আশ্বস্ত করেছি আগামী ১ সপ্তাহে ভিতরে একটি সার্ভে করে তাদের কি সমস্যা আছে সেটি দেখবো। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তারা দিনে গ্যাস না পেলেও রাতে পান। অর্থাৎ, সংযোগ লাইনে কোন সমস্যা নাই। কাজেই সমস্যা হলো চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। সুতরাং সরবরাহ না বাড়লে এই সমস্যা সমাধান করা যাবে না।
খাদেমুদ্দিন আরো বলেন, সাভার ও মানিকগঞ্জ এলাকা মূলত আমাদের যেই সোর্স লাইন রয়েছে, তার একেবারে শেষ প্রান্তে। যার কারনে এই এলাকায় এসে গ্যাসের চাপ একদম কমে যায়। তাছাড়া আমাদের এখন মূল প্রায়োরিটি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি, কাজেই আবাসিকের ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমাদের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হয়। আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো, পাশাপাশি এখানে আমাদের লাইনে কোন সমস্যা আছে কিনা, সেটি সার্ভে করে দেখবো।