আগামী তিন-চার মাস সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, "জাতীয় নির্বাচনের আগে আগামী তিন থেকে চার মাস সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা মনে করি রাজনীতিতে, রাষ্ট্রীয় জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য নয়, সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রম করা যায়।"
আজ (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, "তারা তাদের কথা বলুক, আমরা আমাদের কাজ করব।"
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কি দুই বড় শক্তির মাঠের লড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের ইলেকশন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিভিন্ন দেশের এ অঞ্চলকে ঘিরে জিওপলিটিক্যাল স্ট্রাটেজি আছে। সেখানে আমেরিকার একটা ইন্টারেস্ট আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা খুব স্বাভাবিক। ওদিকে চীন আছে, একটা বড় শক্তি।"
তিনি বলেন, "আজ এই মুহূর্তে ইকুয়েডরে ইলেকশন হচ্ছে, আর্জেন্টিনার ইলেকশন হচ্ছে, ২০-২২টি দেশে এ বছর ইলেকশন আছে। কিন্তু কোথাও ইলেকশন নিয়ে বা অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো কথা নেই। ইকুয়েডরে তো প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেটকে মেরে ফেলেছে। সেখানে ইলেকশন হচ্ছে। এইসব নিয়ে তো কোনো কথা বলে না বড় বড় দেশ, শক্তিগুলো। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন, কারণটা কী আমরা তো বুঝি না।"
ওবায়দুল কাদের বলেন, "জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল ইলেকশন করব। সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের নিয়ম হচ্ছে সংবিধান। যেভাবে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ইলেকশন হবে আমরা তার বাইরে যাচ্ছি না। আমরা বরং আমাদের ইলেকশন কমিশনকে ইন্ডিপেনডেন্ট করেছি। বর্তমানে ইলেকশন কমিশন ইন্ডিপেনডেন্ট।"
মন্ত্রী আরও বলেন, "ভারত আমেরিকাকে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের অপিনিয়ন জানিয়েছে। আমাদেরকে কখনো বলেনি তোমার ইলেকশনে এই-সেই করো, তত্ত্বাবধায়ক আনো, ইলেকশন সিস্টেম নিয়ে কিছু বলেনি। এসব কথা আমেরিকাও বলেনি। কিন্তু বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কখনো এসব বলেনি।"
"আমি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিন বিষয়ে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙে দেওয়া) যে, আপনার মতামত কি? তিনি বলেছেন, এসব বিষয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।"