রেলের রানিং স্টাফদের কর্মসূচী ১০ কর্মদিবসের জন্য স্থগিত
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাওয়েন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে চলমান আন্দোলন ১০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন রেলের কর্মীরা। রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
এর আগে দাবি আদায় না হলে রোববার মধ্যরাত ১২টা থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঐক্য পরিষদ। আন্দোলন স্থগিত হওয়ায় আপাতত দেশব্যাপী রেলসেবা বন্ধের আশঙ্কা কেটে গেছে।
মুজিবুর রহমান বলেন, "মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এ বৈঠকের আশ্বাসে আমরা আমাদের কর্মসূচি ১০ কর্মদিবস স্থগিত করেছি।"
আন্দোলনের সংগঠকরা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী হেডকোয়ার্টারের কর্মীদের ৮ ঘণ্টার ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম করার কথা। কিন্তু রেলওয়ের কর্মী সংকট থাকায় তাদের আরও বেশি কাজ করতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান, ব্রিটিশ রেল আইন অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা কর্মীদের মূল বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত কাজের জন্য বাড়তি অর্থ প্রদান করা হয়, যা মাইলেজ প্রথা নামে পরিচিত। আর মূল বেতন অনুযায়ী প্রাপ্য পেনশন থেকে ৭৫ শতাংশ বেশি অর্থ দেওয়া হয়।
ট্রেনচালক, সহকারী চালক, টিটিই ও ট্রেন পরিচালকের মত রানিং স্টাফরা এভাবে বেতন ও পেনশন পেয়ে আসলেও ২০২১ সালে তাদের মাইলেজ সুবিধা সীমিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই সময় পেনশনের বাড়তি ৭৫ শতাংশ অর্থও বাতিল করা হয়।
পূর্বের সুযোগ-সুবিধা বহালের জন্য দুই বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শ্রমিকরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মঘট পালন করেছেন তারা।
তবে বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেল সচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা।
মুজিবুর রহমান বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন ১০ কার্যদিবস কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। এরপর একদিনও সময় বাড়ানো হবে না। দাবি পূরণ না হলে ঘোষণা অনুযায়ী রেল চলাচল বন্ধ থাকবে।"