পাইকারি বিক্রেতারা ২৭ টাকায় আলু বিক্রি না করলে সরকার বিক্রি করে দেবে: ভোক্তা মহাপরিচালক
পাইকারি বিক্রেতারা যদি হিমাগারে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি না করেন, তাহলে সরকারই এই দামে আলু বিক্রি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মুন্সিগঞ্জে আলু ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিক সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, 'রোববার থেকে হিমাগারের আলু ২৭ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। যদি কোনো ব্যবসায়ী তার আলু বিক্রি না করেন, তাহলে সরকারই ২৭ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে মালিকদেরকে টাকা বুঝিয়ে দেবে।'
মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, 'সরকার চাইলে আলু অধিগ্রহণ করে বিক্রি করে দিতে পারে। কিন্তু সরকার তার ক্ষমতা দেখাতে চায় না। তাই আলু ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাব, ২৭ টাকা দরে পাইকারি এবং খুচরায় ৩৫-৩৬ টাকা দরে আলু বিক্রি করত হবে।'
খুচরা বিক্রেতাদের উদ্দেশে সফিকুজ্জামান বলেন, পাইকারিতে ২৭ টাকা দরে আলু কিনতে না পারলে স্থানীয় ইউএনওদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রশাসন তাদেরকে ২৭ টাকা দরে আলু কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
তার আগে শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে রসরাজ বাবু নামে এক ব্যবসায়ীর ১০ হাজার বস্তা আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা দরে বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৩৫-৩৬ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৬-২৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। যদিও ব্যবসায়ীরা এ দাম মানছেন না। আলু, পেঁয়াজ ও ডিম—এ তিন পণ্যের ওপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল্যসীমা আরোপের দুদিন পরেও দামের উত্তাপ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তবে সরকার-নির্ধারিত দরের চেয়ে উচ্চমূল্যে যারা এসব নিত্যপণ্য বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।