ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার
সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মতোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষে বা অন্য কোনো কারণে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা না গেলে, প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) এমন বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন, ২০২৩ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে।
সভাশেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে নতুন চেয়ারম্যান না পাওয়া পর্যন্ত সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে, আইনে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভাতা পান। কিন্তু, তারা যখন দায়িত্বে থাকবেন না, তখন ভাতা পাবেন কি-না আইনে তা স্পষ্টভাবে বলা ছিল না। আইন সংশোধন করা বলা হয়েছে, যখন তারা দায়িত্বে থাকবেন না, তখন ভাতাও পাবেন না।
এর আগে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানোর বিধান চালু করে সরকার।
এতদিন গেজেট জারির ৩০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যভার গ্রহণ করতে হতো। এখন থেকে শপথের পরে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম সভা করতে হবে বলে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
এছাড়া ইউপির সচিবের পদ পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মেয়াদ শেষের ৯০ দিন আগে হবে সিটি নির্বাচন:
সিটি করপোরেশনে মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিন মাস আগে নির্বাচন করতে হবে। এমন বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যেদিন করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে, তার আগের ছয় মাসের মধ্যে করতে হতো। এখন সেটিকে বদলে তিন মাস করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। শপথ নেওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচিতদের প্রথম সভা করতে হবে।
"সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলদের বার্ষিক ছুটি তিন মাস থেকে কমিয়ে এক মাস করা হয়েছে। আগে কোনো কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকলে পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দায়িত্বে থাকতেন। এখন সেটিকে বদলে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর দায়িত্বে থাকবেন, সেই বিধান করা হচ্ছে।"
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিটি করপোরেশন সচিবের পদটিও বদলে নির্বাহী কর্মকর্তা করা হচ্ছে।
এছাড়া পানি নিষ্কাষণের দায়িত্ব ওয়াসার কাছ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে দেওয়া হয়েছে। ওয়াসার কাছ থেকে এই দায়িত্ব চুক্তি করে আগেই সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছিল।
মাহবুব বলেন, সিটি করপোরেশনেসর মধ্যে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানাধীন রাস্তা, পুকুর বা ডোবা থাকলে, সেগুলো যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা না হয়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কারের জন্য সিটি করপোরেশন নির্দেশ দিতে পারবে। নির্দেশনা না মানলে জরিমানা করার বিষয়টি আইনে যুক্ত করা হচ্ছে।