বে টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হবে: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব
বে টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক। রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্প পর্যালোচনায় অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে বে টার্মিনাল প্রকল্পের অগ্রগতির কথা শুনেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা। প্রকল্পটি নিয়ে ক্যাবিনেট সভায় আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।'
সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম শাখাওয়াত হোসেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, বিডা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পিএসএস সিঙ্গাপুর, ডিপি ওয়াল্ড সহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত একজন অংশীজন প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করে টিবিএসকে বলেন, 'বৈঠকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রসেস করার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।'
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ প্রকল্পটি নিয়ে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে বলেন, 'বে টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে আরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।'
বৈঠকে উপস্থিত অংশীজনরা জানিয়েছেন, বে টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে দুটি কনটেইনার টার্মিনাল এবং একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডি পোর্ট গ্রুপ।
এছাড়া, দুটি কনটেইনার টার্মিনালে পিএসএ সিঙ্গাপুর এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড এর ১.৫ বিলিয়ন ডলার করে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা রয়েছে।
অংশীজনদের সভায় পিএসএ সিঙ্গাপুর এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত মাসে পিপিপি অথরিটি কার্যালয়ে পিপিপি অথরিটি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রকল্পটির কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বন্দর মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে পিপিপি অথরিটি তাগাদা দেয় বলে জানায় বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দরে সক্ষমতার তুলনায় কন্টেইনারের চাপ বেশি থাকায় ২০১৪ সালে সরকার বে-টার্মিনাল প্রকল্প হাতে নেয়।
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রাথমিক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা হালিশহর এলাকার সাগর উপকূলে মোট আড়াই হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে বে টার্মিনাল প্রকল্প।