খেলোয়াড়দের জন্য বিএসএমইউতে চালু হলো স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিক
ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চালু হলো স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিক। প্রতি শনিবার বিএসএমএমইউ বি-ব্লকের নিচতলায় ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত হবে এই ক্লিনিক।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ স্পোর্টস মেডিসিন-এর যৌথ আয়োজনে এই ক্লিনিকের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ সাহেদ রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, 'স্পোর্টস মেডিসিন ক্লিনিক উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সকল ফেডারেশনকে একই ছাতার নিচে নিয়ে এসে ক্রীড়াবিদদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে পারবে।'
তিনি বলেন, এই ক্লিনিকের কার্যক্রম ও পরিসর বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশেই খুব শিগগিরই ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা হবে বলেও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এ বিশেষায়িত স্পোর্টস ক্লিনিক থেকে খেলোয়ারদের প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসা, জটিল জটিল অপারেশনসহ সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। ভবিষ্যত স্পোটর্স মেডিসিনের উপর উচ্চতর ডিগ্রি চালু করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হবে।'
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অভ স্পোর্টস মেডিসিনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক এবং মহাসচিব ডা. আলী ইমরান জানান, বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়রা ভালো চিকিৎসার সুযোগ পেলেও তৃণমূল থেকে শুরু করে অন্যান্য পর্যায়ের ক্রীড়াবিদরা প্রায়ই সঠিক চিকিৎসা বা পরামর্শ পান না। আবার অনেক খেলোয়াড় চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান। এসব সংকট দূর করা এবং সঠিক চিকিৎসা পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সব পর্যায়ের খেলোয়াড় এবং খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা দেওয়াই এ ক্লিনিকের উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত সব স্পোর্টস ফেডারেশন এবং ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে ইতিমধ্যে 'রোগী রেফারাল কার্ড' পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনগুলো তাদের অধীনস্থ খেলোয়াড়দের সেই কার্ড দিয়ে এই ক্লিনিকে পাঠাতে পারবে চিকিৎসার জন্য।