মহা বিপর্যয়ের পথে গাজা: ডক্টরস উইথআউট বর্ডারের প্রধান
গাজার পরিস্থিতি মহা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইথআউট বর্ডার (এমএসএফ) এর প্রধান আভরিল বেনোইত।
গাজায় গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে। যাদের জেনারেটর আছে তারাও জ্বালানির অভাবে শীঘ্রই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। বহিঃবিশ্বের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পন্থা ইন্টারনেটও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এমএসএফ প্রধান বেনোইত বলেন, গাজার অনেক লোক মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছে।
তিনি বলেন, গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা আগেই ভঙ্গুর ছিল এখন তা বিপর্যয়কর অবস্থায় চলে গেছে।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ সিএনএনকে বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি 'বিধ্বংসী'। ইসরায়েল আল-কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু সরিয়ে নেওয়ার অবস্থায় নেই অনেক রোগী।
তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৩০০ রোগী আছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছে। ইনকিউবেটরে অনেক বাচ্চা আছে। আমরা তাদের সরিয়ে দিতে পারব না।
বেনোইত আরো বলেন, গাজায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব। বিমান হামলায় অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছেন। অনেকে ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল অভিযানের শঙ্কায় পালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার ২২ হাসপাতাল খালি করার আদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এই আদেশ অসুস্থ ও আহতের জন্য মৃত্যুদণ্ড।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, যদি রোগীদের সরে যেতে বাধ্য করা হয় এবং সরিয়ে নেওয়ার সময় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়, তবে তাদের সকলের অবস্থার অবনতি হবে এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, উত্তর গাজার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে আহত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের সামর্থ্যের বাইরে কাজ করে যেতে হচ্ছে। কিছু রোগীকে বেডের অভাবে হাসপাতালের বারান্দায়, আউটডোর এবং আশেপাশের রাস্তায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।