ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এলার্ট ৩ জারি, বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সতর্কতা সংকেত এলার্ট ৩ জারি করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। মঙ্গলবার সকালে জরুরি বৈঠকে বসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক টিবিএসকে বলেন, "ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। বহির্নোঙ্গরে বন্ধ রয়েছে পণ্য খালাস। জেটিতে অবস্থানরত কিছু জাহাজ বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, দিনের পরবর্তী জোয়ারে বাকি জাহাজগুলোও জেটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে জেটি, টার্মিনাল ও ইয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত ডেলিভারি কার্যক্রম চলছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসনের পরিকল্পনা অনুসারে, ১৯৯২ সালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতার ওপর ভিত্তি করে বন্দরের নিজস্ব চারটি সতর্কতা সংকেত নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নং সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম স্তরের সতর্কতা বা এলার্ট ১ জারি করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নং সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দরে এলার্ট ২ জারি করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা সংকেত ৫, ৬ ও ৭ এর জন্য এলার্ট ৩ জারি করা হয়।
এলার্ট ৩ জারি করা হলে সব ধরনের জাহাজ জেটি থেকে খোলা নোঙ্গরখানায় সরানো হয়।
আবহাওয়া অফিস কর্তৃক উচ্চ দুর্যোগ সংকেত ৮, ৯ এবং ১০ এর ক্ষেত্রে, বন্দর সর্বোচ্চ সতর্কতা বা এলার্ট ৪ জারি করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে আবহওয়া অধিদপ্তরের চার নম্বর সংকেত ঘোষণার পর বন্দর এলার্ট ২ জারি করেছিলো। রাত ১১টায় বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত হয় জরুরী সভা। ওই সভায় জানানো হয় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও বিশেষায়িত জেটিতে ২৩টি জাহাজ অবস্থান করছিলো।
মঙ্গলবার সকালে এলার্ট ৩ জারির পরপরই বন্দরের মেরিন ডিপার্টমেন্ট কোস্টগার্ড, নৌপুলিশের সহায়তায় বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে ছোট বড় সব জাহাজ বহির্নোঙরে কিংবা শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি) সহ সব কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট পর্যায়ক্রমে প্যাকিং করা হচ্ছে। খালি কনটেইনারগুলো নিচে বা নিরাপদে রাখা হচ্ছে।
মেরিন, ট্রাফিক, সিকিউরিটি এবং সেক্রেটারি অফিস পৃথক কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের সকল বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত থাকবেন।