৩০ সেকেন্ড সময় পেলে বাঁচতো এগারোসিন্ধুর ১৭ যাত্রীর প্রাণ!
এগারোসিন্ধুর ট্রেনটি আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় পেলেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি এড়াতে পারতো বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ।
তার দাবি, এগারোসিন্ধুর ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়া কন্টেইনার ট্রেনের চালক সিগন্যাল অমান্য করে স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করায় সংঘর্ষটি ঘটে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এসব কথা বলেন স্টেশন মাস্টার ইউসুফ।
এর আগে, গতকাল (২৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টায় রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে ঢাকাগামী এগারোসিন্ধুর ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কন্টেইনার ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে এগারোসিন্ধুর ট্রেনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে দুইটি বগি সম্পূর্ণভেবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, আহত শতাধিক যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ বলেন, "এগারোসিন্ধুর বৈধ সিগন্যাল পেয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু কন্টেইনার ট্রেনের চালক সিগন্যাল না দেওয়া সত্ত্বেও স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। আর যদি অন্তত ৩০ সেকেন্ড সময় পেতো এগারোসিন্ধুর ট্রেনটি– তাহলে হয়তো দুর্ঘটনাটি ঘটতো না।"
তিনি আরও বলেন, "কোনো একটি ট্রেনকে স্টেশনে ঢুকতে হলে দুইটি সিগন্যাল অতিক্রম করতে হয়। প্রথমটি আউটার এবং দ্বিতীয়টি হোম সিগন্যাল। কন্টেইনার ট্রেনটিকে আউটার সিগন্যালের বাইরে অপেক্ষায় থাকতে বলা হয়েছিল। এগারোসিন্ধুর ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর কন্টেইনার ট্রেনটিকে আসার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হতো। কিন্তু এর আগেই হোম সিগন্যাল অমান্য করে কন্টেইনার ট্রেনের চালক।"
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই কন্টেইনার ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং গার্ডকে বরখাস্ত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, ঘটনা তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।