হামুন মোকাবেলায় বরিশালে প্রস্তুত ৫৪১ আশ্রয়কেন্দ্র, চলছে সতর্কীকরণ প্রচারণা
ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় বরিশালে ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এর পাশাপাশি ৬১টি মেডিকেল টিম এবং ৩২২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জেলায়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক আরও জানান, দুর্যোগপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা নগদ অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশালের উপ-পরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, "সংকেত বাড়ার সাথে সাথে সিপিপি কর্মীরা জনসচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের বিভাগে ৩৩ হাজার ২৮০ জন কর্মী ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সতর্কীকরণ প্রচারণা চালাচ্ছেন।"
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বরিশাল জেলার সেক্রেটারি মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় ৫০০ কর্মী উপকূলীয় এলাকায় জনসচেতনতায় কাজ করছেন। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে সবাইকে নিরাপদ ও সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বরিশাল-ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সকল রুটে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডাব্লিউটিএ।
বরিশাল নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, "নদী বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে সমুদ্র বন্দরের আওতায় পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও অদূরবর্তী চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকায় নৌ-চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।"
বরিশাল নদীবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ পন্টুনে নোঙর করে রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বরিশাল, মেহেন্দিগঞ্জ, লাহারহাট, ভোলাসহ অভ্যন্তরীণ রুটের স্পিডবোট চলাচল। তবে খেয়া পারাপার বন্ধে এখনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।