আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ, চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ঢাকার আশুলিয়ায় টানা ৩য় দিনের মত নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে আশুলিয়ায় জামগড়া এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার অন্তত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করে।
এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের সদস্যরা সড়কের উভয় পাশ থেকে শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকদের বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে মজুরি বোর্ডের সভায় আমাদের দাবি না মেনে কম মজুরির কথা বলা হচ্ছে। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের যৌক্তিক দাবি নিয়েই আমাদের আন্দোলন চলছে।
এদিকে শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া পালটা ধাওয়ার এই ঘটনায় ৯টার মধ্যে জামগড়া এলাকার বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
সকালে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে কিছু সময় পরপর বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা জড়ো হয়ে সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার কিছু সময় পর সুযোগ বুঝে আবারো সড়কে নেমে আসছেন শ্রমিকরা।
সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এভাবেই কয়েক দফায় পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় থানা ও শিল্প পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নেয়।
এই রিপোর্ট লেখার সময় সকাল ১০টা নাগাদ আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে নরশিংহপুর, জিরাবো এলাকায় বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সড়কে নেমে আন্দোলন করছে।
সকাল সাড়ে ১০টা ১৫ মিনিটে মুঠোফোনে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ -১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল বারী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে বলেন, এই মুহুর্তে জামগড়া এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও নরসিংহপুর, জিরাবো এলাকার বিভিন্ন কারখানায় হামলা চলছে। আমরা সেখানে যাচ্ছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।