মালিকদের ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব অযৌক্তিক: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
মালিকপক্ষের দেওয়া পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এ কারণে বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে 'গ্রহণযোগ্য' মজুরি নির্ধারণে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে মজুরি বোর্ডে সুপারিশ পাঠাবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর শ্রম ভবনে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে গঠিত মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ৮ হাজার টাকা এবং বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট (বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি) দেওয়ার বিধান করা হয়। গত ৫ বছরে ইনক্রিমেন্টের কারণে বেতন বৃদ্ধি পেয়ে শ্রমিকদের বেতন ১০ হাজার ৪০০ টাকার কাছাকাছি হওয়ার কথা, সে কারণে বর্তমান মজুরি বোর্ডে পোশাক মালিকদের পক্ষ থেকে ন্যূনতম মজুরির যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সেটি অযৌক্তিক বলে মনে হয়। তাই শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ডে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
মন্নুজান সুফিয়ান আরও বলেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সায় দিয়েছেন।
মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড আগামী বৈঠকে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, তারা ঐক্যমতে পৌঁছতে না পারলে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণের নির্দেশ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মজুরি নির্ধারণের আগে আন্দোলনকে হঠকারিতার শামিল উল্লেখ করে শাহজাহান খান বলেন, 'সাধারণত মজুরি ঘোষণার পরে আন্দোলন হতে দেখেছি। এবারই প্রথম মজুরি ঘোষণা আগে আন্দোলন হচ্ছে। শ্রম আন্দোলনের নামে শ্রমিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। এত বছর মজুরি নিয়ে তারা কোনো কথা না বললেও এখন শ্রমিকদের ২৩ হাজার টাকা মজুরি দিতে বলছে। অথচ বিএনপির ১২ বছরের শাসনামলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়নি।'