শ্রম ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরও অনেক কাজ করা দরকার: বাংলাদেশকে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সফররত এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশকে বলেছে, দেশ তৈরি পোশাক খাতে নিরাপত্তার মানদণ্ডে অগ্রগতি অর্জন করেছে তবে শ্রম ও মানবাধিকার উভয় ক্ষেত্রেই আরও অনেক কাজ করা দরকার।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে মিশনটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের উন্নয়নে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও উল্লেখ করে।
'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) শীর্ষক বাণিজ্যব্যবস্থার অধীনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা পালিত হচ্ছে তা মূল্যায়ন করতে ১২–১৬ নভেম্বর ঢাকা সফর করছে ইইউ'র পর্যালোচনা মিশনটি। ইবিএ ব্যবস্থায় মানব ও শ্রম অধিকারের মূল কনভেনশনসমূহ মেনে চলা স্বল্পোন্নত দেশগুলো ইইউ'র বাজারে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পায়। বাংলাদেশ ইবিএ'র সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী — ২০২২ সালে ইইউ'র বাজারে দেশের রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পাম্পালোনি সফররত দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলটি সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়ন, তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড এবং বিজিএমইএ-এর সঙ্গে দেখা করেছে।
ইইউ কর্মকর্তারা পোশাক খাতে নিরাপত্তার মান নিয়ে অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার উভয় ক্ষেত্রেই কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করেন তারা। মানবাধিকারের বিষয়ে মূল ইবিএ কনভেনশনগুলো মেনে চলার জন্য আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে পরামর্শ দেন তারা।
আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) ২০২৩-এর সুপারিশ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উৎসাহিত করেছে ইইউ।
শ্রম অধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব শ্রমনীতি ও চর্চাগুলোকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রচেষ্টা জোরদারে পরামর্শ দিয়েছে ইবিএ পর্যবেক্ষণ দল। এছাড়া শ্রম খাতে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে এটি।
ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পাম্পালোনি বলেন, 'বাংলাদেশ সফর মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার পূরণের গুরুত্বের ওপর মূল অংশীজনদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার একটি মূল্যবান সুযোগ দিয়েছে যা ইবিএ ব্যবস্থার একটি অন্তর্নিহিত অংশ। প্রয়োজনীয় সংস্কার ত্বরান্বিত করতে আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ এবং ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাব।'
ইইউ বাংলাদেশ সরকার এবং সকল অংশীজনদের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সংলাপের মাধ্যমে এ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। পরবর্তী ইইউ জিএসপি রিপোর্ট নভেম্বরের শেষে প্রকাশিত হবে।