নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সমতল অবস্থা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালনে পিছপা হবে না: ইসি সচিব
'আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সকল ধরনের সমতল অবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে পিছপা হবে না'- বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসির বক্তব্যের পর কমিশনের সচিব প্রেস ব্রিফিং করেন।
এসময় ইসি সচিব বলেন, 'নির্বাচন কমিশন আজ ২৬তম সভায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করেছে। সেখানে কত তারিখে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, কারা কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন, কারা প্রিসাইডিং অফিসার হবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ থেকে ১৮টি নির্দেশনামূলক পরিপত্র জারি করতে হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সেগুলো কখন কীভাবে জারি করতে হবে, কীভাবে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেরা দায়িত্ব পালন করবেন- এসব বিষয়ে কমিশন আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। তার আলোকে আমরা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।'
নির্বাচনে যেসব দল আসবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, 'এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত বিধায় আজকের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।'
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি। তফসিল অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের পদপ্রার্থিতা ঘোষণা করবে, মনোনয়ন দাখিল করবে, বাছাইয়ে উন্নীত হবে, প্রচারণায় যাবে।'
পুনঃতফসিলের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, 'নির্বাচনের অনেকগুলো ধাপ আছে। সমস্ত কার্যক্রম ধাপে ধাপে গ্রহণ করা হয়। আপনারা বলছেন, নির্বাচন সময়কালীনের বিষয়টা। এখন নির্বাচনের পূর্বকালীন সময়। তফসিলের সময় থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যখন যেটা প্রয়োজন হবে, কমিশন তখন সেই কার্যক্রম গ্রহণ করবে।'
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের তারিখ আগামী ৭ জানুয়ারি। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করা যাবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।