২৯টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পেল ইসির নিবন্ধন, মোট ৯৬ সংস্থার তালিকা প্রকাশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরও ২৯ টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে নতুন এই ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ মোট ৯৬টি সংস্থা আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেল।
নির্বাচন কমিশনের বুধবারের (৬ ডিসেম্বর) দেওয়া তথ্যানুসারে, নতুন নিবন্ধন পাওয়া দেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনও রয়েছে। সংস্থা দুটি প্রথম ধাপে আবেদন করলেও, পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে তারা নিবন্ধন পেল।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী। তিনি একইসঙ্গে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিবও।
তবে নভেম্বরে প্রকাশিত প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের হয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া। আর ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলেন আবেদ আলী। আরও কয়েকটি সংস্থার মোর্চা হচ্ছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনভিজ্ঞ বিদেশি নাগরিকদের পর্যবেক্ষক হিসাবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সমালোচনা হওয়ার পর সার্ক মানবাধিকার ফোরাম মিডিয়া আলোচনায় এসেছিল।
অন্যদিকে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম চলতি বছরের শুরুতে কয়েকজন বিদেশিকে দেশে এনে 'বিদেশি পর্যবেক্ষক' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
সর্বশেষ নিবন্ধ পাওয়া সংস্থাগুলোকে নিয়ে ইসির নিবন্ধন পাওয়া স্থানীয় পর্যবেক্ষকের সংখ্যা এখন ৯৬টি।
এই সংস্থাগুলো ২০২৮ সালের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যেকোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তির পর নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেতে ১৫০টিরও বেশি দেশি বেসরকারি সংস্থা আবেদন করেছিল।
আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি করে এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন ৮১টি দেশীয় সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন প্রতিনিধি।
নতুন নিবন্ধন পাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে—ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূওর (ডরপ), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নীড় (স্রাবন), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম, রুরাল ভিশন (আরডি), তাজ শান্তি সংঘ (টিএসএস) বগুড়া, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা), পাথওয়ে, এমপাওয়ারমেন্ট থুল অফ দ্য কমন পিপল (এলকপ), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, নাইস ফাউন্ডেশন, নারী উন্নয়ন সংস্থা, সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন, সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো), সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন (এসটিএএফ), বিয়ান মনি সোসাইটি, অগ্রগতি সেবা সংস্থা (আসেস), আল-কোরআন প্রচার সংস্থা (আকপস) বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, এআরডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা, সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, উদ্ভাবনী মহিলা সংস্থা, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর দ্য নীডি (ভন), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (ডিপিইউপি), সেলফ ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ (এসডিআই) ও বেডো আর্থসামাজিক কেন্দ্র।