নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা আলতাফ ও হাফিজের কারাদণ্ড
রাজধানীর গুলশান থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) মো. হানিফকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এক বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা না দিয়ে, আদালত এ সাজার আদেশ দেন।
এরমধ্যে একটি ধারায় তাঁদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডবিধির আরেক ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাকি ৫ আসামিকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- এম এ কাইয়ুম, এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন বাবু ও মো. আলমগীর বিশ্বাস।
দণ্ডবিধির একটি ধারায় তাদের তিন বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় দেওয়া হয়েছে ৬ মাসের কারাদণ্ড।
আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের উপর আক্রমণ করেন। আসামিরা রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করেন ও আগুন ধরিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার উপপরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।