রায়কে 'সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী' অভিহিত করলেন ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়কে 'সব আইনি দৃষ্টান্ত ও যুক্তির পরিপন্থী' বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার ৩ নম্বর শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায় দিয়েছেন।
রায়ে মাইক্রোফাইন্যান্সের অগ্রদূত, ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ইউনূস সেন্টার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, 'আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্তি দেখিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী।'
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশবাসী ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বিবৃতিতে।
এতে তিনি বলেন, 'আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণ ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করে যাব।'
ড. ইউনূস অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
৮৩ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, 'আমি বাংলাদেশের জনগণকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং আমাদের প্রতিটি নাগরিকের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অভিন্ন সুরে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি।'
ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তা গতকাল আপিলের শর্তে জামিন পাওয়ায় তাদের জেলে যেতে হয়নি।
রায়ের পর আদালত থেকে বের হয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, যে অপরাধ তিনি করেননি তার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
রায়ের এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি যা আমি করিনি। আপনি যদি এটিকে ন্যায়বিচার বলতে চান, তাহলে আপনি বলতে পারেন।'