ঘুমধুমে আবারো এসে পড়লো মিয়ানমারের মর্টার শেল, আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন স্থানীয়রা
আবারও মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল এসে পড়েছে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নে। আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ায় সকাল ৯টার দিকে একটি বাড়ির উঠানে পড়ে মর্টার শেলটি।
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন নাইখংছড়ির দায়িত্বে থাকা লামা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাস।
এর আগে গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশে আঘাত হানে ও বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়।
ইউএনও শান্তনু কুমার দাস বলেন, ক্রমাগত গুলিবর্ষণের কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেককেই সীমান্তের কাছে তাদের বাসস্থান থেকে চলে যাচ্ছেন। আইন রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অনেককেই সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছে।
মায়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাওয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থানকারী অনেক বাংলাদেশি দূরে আত্মীয়দের বাড়িতে পালিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে সীমান্ত শিবির দখলকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী দলগুলোর সংঘর্ষ চলছে। প্রায়ই গুলি, মর্টার শেল ও রকেট বিস্ফোরিত হচ্ছে।
গত তিন দিনের সংঘাতের সীমান্ত-লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় গুলি বা মর্টার শেষ পড়লেও সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং সশস্ত্র সংগঠনগুলো মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চল ও রাজ্য, সাগাইং, মগওয়ে এবং মান্দালয় অঞ্চলের পাশাপাশি কাচিন ও কারেন রাজ্যে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে তাদের হামলা জোরদার করার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
এরমধ্যে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ২২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন যাদের মধ্যে আছে দেশটির বিজিপি সদস্য, সেনা সদস্য ও আহত নাগরিক।