ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অ্যানেসথেসিয়ার ব্যবহার নিষিদ্ধ করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডাক্তারদের চেম্বার এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অ্যানেসথেসিয়ার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জারি করা ওই আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ ছাড়া কোনো ধরনের অপারেশন, সার্জারি বা ইন্টারভেনশনাল প্রসিডিউর করা যাবে না।
খতনা করানোর সময় অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার কারণে সম্প্রতি দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগের পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে আহনাফ তাহমিন আয়হাম নামক এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মারা যায়। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পূর্ণ অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা করার পর আয়ান নামক পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ অনুসারে, ডায়াগনস্টিক এবং হাসপাতাল হিসেবে তালিকাভুক্ত কিন্তু কেবল ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালের লাইসেন্স থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো উপযুক্ত লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত তাদের নামে থাকা নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলো দিতে পারবে না।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরি কেবল প্রাপ্ত লাইসেন্সের ক্যাটাগরিতে নির্দিষ্ট করে দেওয়া পরীক্ষাগুলো করতে পারবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এটির আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি এবং রেডিওলজি বিশেষজ্ঞদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।