বেইলি রোডে আগুন: একসাথে চার বন্ধু খেতে গিয়ে দুজনের মৃত্যু
বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইতে রাতে একসাথে খেতে গিয়েছিল চার বন্ধু। হঠাৎ আগুন লাগলে দুজন বের হতে পারলেও মারা যায় বাকি দুজন। এরমধ্যে একজনের লাশ রাতেই শনাক্ত করে স্বজনরা নিয়ে গেলেও নাজমুলের লাশ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
নাজমুল ইসলাম (২২) বনজরুল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির (পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার পুত্রের মধ্যে দ্বিতীয়।
রাত থেকেই নাজমুলের আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গে নাজমুলের লাশের খোঁজ করছেন। তবে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। লাশ শনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যালের মর্গের সামনে টিবিএসেকে কে নিহতের চাচা রাজীব বেপারী বলেন, নাজমুল খুব ভাল ছাত্র ছিল। সে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। চার ভাই বোন ও বাবা-মা সহ সে তার পরিবারের সাথে বনানি থাকত। রাতে বাসা থেকে বের হয়ে কাচ্চি ভাইতে খেতে গিয়েছিল তার বন্ধুদের সাথে। তারা চার বন্ধু একসাথেই ছিল।
রেস্টুরেন্টে থাকাকালীন একপর্যায়ে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে দুই বন্ধু বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তারাই পরিবারকে ফোন করে নাজমুল ও তার বন্ধু জুনায়েদের আটকা পড়ার বিষয় জানায়।
নিহতের চাচা রাজীব বেপারী আরো বলেন, 'শুনেই আমরা সবাই ছুটে সেখানে যাই। তবে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোন হদিস পায়নি। রাত সাড়ে তিনটার সময় জুনায়েদের স্বজনরা জুনায়েদকে শনাক্ত করে নিয়ে যায়।'
'কিন্তু আমরা এখনো নাজমুলকে খুঁজে পায়নি', বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন চাচা।