বেইলি রোডে ভবনে আগুন: কাচ্চি ভাই’র ম্যানেজারসহ আটক ৩
রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর একজন ম্যানেজার ও চুমুক নামক আরেকটি রেস্তোরাঁর দুই মালিককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রিন কজি কটেজ নামক ওই ভবনে আগুনে অন্তত ৪৬ জন নিহত হন। ভবনটিতে একটি জুস বার এবং একটি চা-কফির দোকানসহ আটটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও কাপড়ের দোকানও রয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) ওই তিনজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির হলেন চুমুক-এর মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই'র ব্যবস্থাপক মো. জিসান।
এদিন সন্ধ্যায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের মালিকসহ যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, 'ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কি না — সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এ ঘটনায় যার দায় পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গতকালের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
এদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।