বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়: নসরুল হামিদ
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/03/05/428457793_1142224473602355_640663226626126464_n.jpg)
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সোমবার (৪ মার্চ) সচিবালয়স্থ অফিসকক্ষে নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে নসরুল হামিদ বলেন, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি আগামী মাসে স্বাক্ষর হতে পারে।
'নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে। …জিএমআর-এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও এগোচ্ছে। মেঘালয়, ত্রিপুরা বা আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
নসরুল হামিদ বলেন, 'এইচ-এনার্জির মাধ্যমে এলএনজি বা গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আমরা ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাই। ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। নেপাল থেকে বাংলাদেশে ডেডিকেটেড লাইন থাকলে বিদ্যুৎ বাণিজ্য গতি পাবে। এতে ভারতও লাভবান হবে।'
তিনি এ সময় আরও বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে প্রতি মাসে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সভা করা অপরিহার্য।
'বায়োফুয়েল নিয়েও আমরা একসাথে কাজ করতে পারি। এলপিজির চাহিদা উওরোত্তর বাড়ছে। এসব খাতে বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ভারতে কীভাবে কাজ করতে পারে, এ বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনা করা যেতে পারে,' বলেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও সহযোগিতা বাড়ছে।
'নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানি চলমান। ভারতও নেপাল থেকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে,' বলেন তিনি।