কিছুটা কমে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৯.৬৭ শতাংশ
খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম কমার বদৌলতে দেশের মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আগের মাস জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিল।
গত বছরের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছিল, নভেম্বরে তা কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমে আসে।
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে মজুরি বৃদ্ধির হার সামান্য বেড়ে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছালেও, গত ২৫ মাস ধরে থাকা মূল্যস্ফীতির চেয়ে এ হার পিছিয়ে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমার বিষয়টি ব্যাপকভিত্তিক। গ্রাম ও শহরের বাজারে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমেছে।'
তিনি বলেন, 'নীতি কঠোরতার ফলে এটি হয়েছে, নাকি র্যান্ডমলি মাসিক ওঠানামার অংশ, তা অনুমান করা শক্ত।'
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কিছুটা কমার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে সুদের হার বেড়েছে এবং ঋণ প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে।
জাহিদ হোসেন বলেন, 'তবে বেশ কয়েক মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতির হার আপ ও ডাউন মোডে রয়েছে।'
এই অর্থনীতিবিদ অবশ্য বলেছেন, এই হার এখনও অনেক বেশি এবং প্রকৃত মজুরি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'কর্তৃপক্ষের উচিত কঠোর অবস্থানে অটল থাকা এবং নজরদারি বজায় রাখা।'