সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এ বছর বাংলাদেশ সফরে আসছেন: রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসছেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, "সৌদি যুবরাজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তবে তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।"
চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এই সফর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৮৫ সালের পর তৎকালীন সৌদি যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের ঢাকা সফরের পর এটিই হবে কোনো সৌদি যুবরাজের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সৌদি নেতার সফরকালে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে। উভয় পক্ষ এমনটাই আশা করছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সফরকালে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার ফুড বাস্কেট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এটি জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত।
সুবিধাজনক সময়ে শিগগিরই যুবরাজের প্রস্তাবিত সফর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে এবং সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল আগামী মাসে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনাল পরিচালনা শুরু করবে।
ফুড বাস্কেট বিতরণ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, সারা দেশের ৩২টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মধ্যে ২৪ কেজি করে মোট ১৫ হাজার ৫০০ ঝুড়ি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গারা এই গ্রহীতাদের মধ্যে থাকবে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশনায় সংহতির প্রতীক হিসেবে অসহায় মানুষদের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি সৌদি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।