২০ রমজান পর্যন্ত আবারও ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল
রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান আগামী ২০ রমজান (৩১ মার্চ) পর্যন্ত আবারও ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে 'ব্যক্তিপর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) খলিলুর রহমান মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এতে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
খলিলুর রহমান বলেন, '২০ রমজান পর্যন্ত আবার ৫৯৫ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করব। তবে প্রতিদিন ২০টির বেশি গরু জবাই দেব না। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করা হবে।'
তিনি বলেন, 'আমি কথা দিয়েছিলাম রমজানে এই দামে মাংস বিক্রি করব। কিন্তু গরুর দাম বেশি পড়ায় আমিও মাংসের দাম বাড়িয়েছিলাম। তাতে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে।'
খলিলুর রহমানের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল ও পুরান ঢাকার নয়ন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তারাও সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বলেন, 'রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন গরুর দাম বেশি পড়ছে। তাই কেজিতে ৩৫ টাকা বাড়াতে হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'রমজানের বাকি দিনগুলোয় ৬৩০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করব।'
পুরান ঢাকার নয়ন আহমেদ বলেন, 'আমি হাড়যুক্ত মাংস ৫৭০ টাকা কেজিতে এবং শুধু মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। কিন্তু গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই দামের মধ্যে মাংস বিক্রি করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। তারপরও রমজানে এই দামেই বিক্রি করব।'
সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'আমরা এসব ব্যবসায়ীর ব্যবসার প্রচারণার জন্য এখানে ডেকে আনিনি। এমনও না যে তাদের চাপ দিয়ে এখানে আনা হয়েছে। তারা গরুর মাংসের বাজারে বড় পরিবর্তন এনেছেন। এখন নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কথা শুনতে চেয়েছি। মাংসের দাম নির্ধারণ তারা নিজেরাই করবেন। ব্যবসা তাদের। লাভ লোকসানও তাদের।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের পক্ষ থেকে সব ব্যবসায়ীর জন্য বার্তা স্পষ্ট। আর তা হলো- কৃষি বিপণনের নির্ধারিত দামের মধ্যে থেকে মাংস বিক্রি করুন। এই তিন ব্যবসায়ী পারলে, এটা সবার পক্ষেই সম্ভব। সেক্ষেত্রে এসব ব্যবসায়ীরা যেভাবে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, সব ব্যবসায়ীকে এভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে বাজারে স্বস্তি আসবে।'
বাজারে এখন কেজি প্রতি ৭৫০ টাকার আশপাশে মাংস বিক্রি হচ্ছে। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তখন কম দামে মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন খলিলুর রহমান।